আমাদের সদস্য বন্ধুদের জন্যে আমরা গর্বিত ! তাদের লেখারই নানা ই -বুক সংকলন আমরা বার করি ! নিচে রইলো সেগুলির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি এবং ডাউনলোড লিংক ,পড়ুন এবং পড়ান!
সব্যসাচী অন্তর্ধান রহস্য
কলকাতা - ছোটবেলার দুই বন্ধু, বড় হয়ে একজন এখন ক্রিপ্টোলজি বিশেষজ্ঞ আরেকজন আই পি এস অফিসার! ঘটনার ঘনঘটা তাদেরকে নিয়ে যায় ভারতেই এমন এক অঞ্চলে যা শহুরে ভারতের দৈনিক চিন্তাভাবনার বাইরেই থেকে যায় সাধারণত! সন্ত্রাসবাদীরা সেখানে পরিকল্পনা করছে বড়সড় কিছু ঘটানোর!বিদর্ভ- ভোর চারটের সময় ওঠে সোনভদ্রা। উঠে প্রথমেই মেয়েকে ভালো করে কম্বল দিয়ে মুড়ে তবে বিছানা ছাড়ে সে। মাদিয়া গোণ্ড সম্প্রদায়ের মানুষ ওরাসুকালো ঘুম থেকে উঠে বাবা মা কে বলে:"-বাপু, মি এক গোষ্ট সাংতো, তু রাগাওলা নাহিস।-বোল না বিটিয়া রানী।“-ত্যানে তুমহালা কমি পাইসে দিলে।”এ তাদের এক দিনগত যন্ত্রনা। ভারতবর্ষের চিরন্তন শোষণের পরম্পরাতে কি এখনো পড়েছে ছেদ?কিন্তু এ গল্প তা নিয়ে নয়, এ গল্প এক অন্যধারার থ্রিলার যা ছুঁয়ে যায় মাটির কাছের মানুষদেরও!লিখেছেন Aparna Chaudhuri , ধারাবাহিক ভাবে বেরোচ্ছিল বইরাগেই, এবার পুরো লেখাটাই দেওয়া হলো ই-বুক হিসেবে !
পদ্মাপারের গল্পমালা
স্মৃতির ভারে ন্যুব্জ হয়ে থাকা এক প্রাপ্তবয়স্ক যন্ত্রণা। সময়ের হাত ধরেই স্মৃতির ঝলকানি ফ্যাকাশে হতে হতেও কখনো কখনো যেন মনের ক্যানভাসে স্থায়ী রং পেতে শুরু করে। বুকের মাঝে একবুক জ্বালা থেকে থেকেই কারণে অকারণে কিলবিল করে ওঠে। বিভিন্ন ছবির কোলাজ যেন বহু যুগের ওপার হতে ভেসে আসা শব্দতরঙ্গ যা ক্ষণে ক্ষণেই ঝংকার তোলে মনের জলতরঙ্গে। সেখানে স্পন্দন ছিল, সেখানে মায়া ছিল, পূর্বজন্মের ভয় ছিল, সেখানে ভেসে যাওয়া মেঘের ছায়া ছিল। অভাব ছিল না ঘোর লাগা দুপুরেরও।
ছিল বিস্ময় নিয়ে ডুবে যাওয়া গ্রাম্য বিকেল যা কিশোরী মনে সমস্ত অনুভূতির ফ্রেমে সেঁটে হারিয়ে যেত টুপ করে। নিয়ম করেই একটা পাখি যেন সুর তুলত শূন্যতার।
এ সবই আজ মায়া। এ সবই আজ ভবিষ্যতকে বলে যাওয়া এক কল্পকাহিনি যার পরতে পরতে মিশে থাকে বিভিন্ন বয়সী কিশোর-কিশোরীদের যুবক-যুবতী হয়ে ওঠার গল্প। শহুরে সময়ে বন্দী হয়েও সন্ধ্যা বোস সেই রূপকথার গল্পের মোড়ক উন্মোচন করেছেন এক অনায়াস সাবলীল দক্ষতায়।
লেখক - সন্ধ্যা বোস
ই-বুক তৈরি - মলয় দেবনাথ ছবি ঋণ - Pratim Das, Suman Das
রেলভ্রমণের কড়চা
ঘর ছেড়ে বাইরে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা মানুষের জন্মগত ! আর সেই তাগিদে মানুষের সফর একসময় শুরু হয়েছিল পায়ে হেঁটে, তারপর এলো নানা শকট , জলযান ,আকাশ যান , এখন তো মহাকাশযানে পৃথিবী ছেড়ে যাবার প্রস্তুতিও চলছে , কিন্তু বেড়াতে যাওয়ার নাম করলে আমাদের মনে কি প্রথমে লৌহপথগামী লৌহশকটের কথাই আসে না ? রেলগাড়ী!
আপনারা জানেন যে আমাদের এই প্রিয় গরূপে কিছুদিন আগেই রেলভ্রমণের অভিজ্ঞতাগুলো প্রকাশিত হচ্ছিল ! 'রেলভ্রমণের কড়চা' শিরোনামে এই লেখাগুলি আসলে এক একটি রত্ন ! ফেলে আসা সময়, আনন্দের সময়, দুঃখের সময়, নতুন জীবন শুরু করার সময়, ঘরে ফিরে আসার সময় , এই সবই ফিরে ফিরে এসেছে এই লেখাগুলিতে ! কাহিনী হয়তো আমাদের চেনা কিন্তু আবার ডুব দিতে আপত্তি কি ! সমস্ত লেখাগুলি একত্রিত করে প্রকাশ করছিলেন Sucharita Ghosh। আর আমাদের আরেক প্রিয় মানুষ , নীরব কর্মী Mamunsha Bogra এই লেখাগুলিকে একত্রিত করে একটি ই বুক বানালেন ! এর মুখবন্ধ লিখেছেন Prashanta Chandra ! প্রচ্ছদ করেছেন Suman Das
আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই লেখকবৃন্দকে !
চলুন আবার পড়ে ফেলা যাক লেখাগুলিকে !
আমার পূজা তোমার পূজা
পৃথিবীর এইসব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল"
আমরা সারাজীবন বেঁচে থাকি বলে মনে হয়। আসলে আমরা বাঁচি কয়েকটা মুহূর্ত। সেই খণ্ড মুহূর্তের বেঁচে থাকা আর তার স্মৃতি রোমন্থন করে চলা একটা গোটা জীবন।
আমরা বাঙালিরা বেঁচে আছি আমাদের শৈশবে, আমাদের উৎসবে, আমাদের সাহিত্যে, গানে, অভিনয়ে, ফুটবলে...... আমাদের বেঁচে থাকার দুটো দুর্লভ সামগ্রী, শৈশব- কৈশোর আর দুর্গাপুজো মিলিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ আমাদের । সদস্যবন্ধুদের কলম থেকে ফুটে উঠল একের পর এক অনবদ্য ফুল.... চলুন দেখি এই অপূর্ব সময়কাল কে নানা চোখে !
সম্পাদনা - মলয় দেবনাথ, প্রচ্ছদ সুচরিতা ঘোষ !
বৈরাগী প্রেম
"অনুরাগ প্রেম সলিলে ডুব দিয়েছি আমি
শোনো গো মধুর হাওয়া প্রেম করেছি আমি..."
প্রেমের গভীরে ডুব দিয়ে সদস্যবন্ধুরা তুলে এনেছেন টুকরো টাকরা প্রেমের ছবি। ফাগুনের মনক্যামন করা হাওয়ায় বইরাগীদের উতলা মন কলম ধরে সৃষ্টি করেছে একের পর এক অপূর্ব গল্প-কবিতা। সেই প্রেমের ডালি একত্রিত করে সাজিয়ে দ্যাওয়া হ'ল আপনাদের সামনে।
সম্পাদনা এবং বইটি তৈরির গুরুদায়িত্ব নিষ্ঠাভরে সামলিয়েছেন Anjaneya Bhattacharya প্রচ্ছদের ছবি এঁকেছেন পূজা রায়। প্রচ্ছদ অলংকরণ সুজয় দত্ত। সদস্যবন্ধুদের পক্ষ থেকে তাদের সকলের জন্য রইল অকুণ্ঠ ধন্যবাদ।
কি লিখি তোমায়
বাংলা সাহিত্য জগতে উদীয়মান লেখিকা Sucharita Ghosh. লেখালেখির জগতে আত্মপ্রকাশ বেশিদিনের নয়। ইতিমধ্যেই যা পড়েছি তাতে মনে হয়েছে ভবিষ্যতে পাঠক মন জয় করার অদ্ভুত ক্ষমতা লেখিকার আছে। তার সমস্ত লেখাই বাস্তব থেকে তুলে আনা একমুঠো সোনা যা পাঠক মনে নির্মল আনন্দ দান করে। একঘেয়ে দৈনন্দিন জীবনে নিয়ে আসে একফালি জ্যোৎস্না। তাঁর লেখা পড়তে পড়তে নিমেষে হারিয়ে যাওয়া যায় সোনালী অতীতে। সোনাঝরা দিনগুলো যেন হাতছানি দিয়ে বলে, "আয় আয়, আবার হাত ধর"।
এখানে-ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লেখিকার টুকরো-টাকরা লেখার সংকলন এই গ্রন্থটি যা পাঠক মনে রেখাপাত করবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
Copyright © Boiraag Publication- বইরাগ পাবলিকেশন - All Rights Reserved.