বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় ব্যঙ্গকৌতুক রসের স্রষ্টা হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত। ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যে এক নতুন রকমের উদ্ভট হাস্যরসের প্রবর্তক ছিলেন।
এতে আছেঃ-
ফোকলা দিগম্বর
ডমরু চরিত
বাঙ্গাল-নিধিরাম
বীরবালা
লুল্লু
কঙ্কাবতী
Buy From :
বঙ্কিমচন্দ্ৰ শ্ৰীমদ্ভগবদগীতাকে পৃথিবীর যাবতীয় ধৰ্ম্মমগ্রন্থের মধ্যে শ্ৰেষ্ঠতম স্থান দিয়েছেন । কাজেই ধৰ্ম্মশাস্ত্র আলোচনা কালে তিনি যে আলোচনায়ও যে লিপ্ত হবেন তা সহজেই অনুমেয়। বস্তুতঃ ১২৯৩, শ্রাবণ সংখ্যা ‘প্রচারে' তিনি এর ব্যাখ্যান আরম্ভ করিয়া দিয়েছিলেন । গীতার মাত্র দ্বিতীয় অধ্যায় পর্য্যন্ত ব্যাখ্যান ১২৯৫ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন সংখ্যায় সমাপ্ত হয়। এর পর গীতা-ব্যাখ্যা আর কোথাও প্রকাশিত হয় নি । কিন্তু চতুৰ্থ অধ্যায়ের ১৯শ শ্লোক পৰ্যন্ত ব্যাখ্যান পাণ্ডুলিপি অবস্থায় ছিল।
বঙ্কিমচন্দ্রের মৃত্যুর পরে ১৯০২ খ্ৰীষ্টাব্দে তাঁহার দৌহিত্র দিব্যেন্দুসুন্দর বন্দ্যোপাধ্যায় ‘প্রচারে’ প্রকাশিত এবং পান্ডুলিপি অবস্থায় প্রাপ্ত অংশ কালীপ্রসন্ন সিংহকৃত অবশিষ্ট ভাগের মূল ও অনুবাদদ্বারা সম্পূর্ণ করে পুস্তকাকারে প্রকাশ করেন।
Buy From :
প্রতিটি গল্পেরই পটভূমি ভারতসহ বিভিন্ন দেশ। তবে এগুলি নিছক ‘ভ্রমণকাহিনি’ নয়। কেননা প্রতিটি গল্পেই একেকটি নতুন দেশ , নতুন চরিত্ররা এবং ভ্ৰমণ মিশে গিয়ে বিনির্মাণ করে নব নব জীবনবাস্তবের।
Buy From :
প্রতিটা কবিতা আমাদের মনের বিভিন্ন অনুভব, বিভিন্ন রঙকে প্রকাশ করেছে অনায়াস ভঙ্গিতে, ছন্দে। যেন এই কথা গুলো আমাদের কথা, এই শব্দগুচ্ছ আমাদের খুব পরিচিত। যেন ঘরে আলগোছে রাখা কোনো এলবামের ছবি। একটা পাতা উল্টালে মনে পড়ছে এই সেই ঘটনা, এইতো সেই মুহূর্ত।
প্রতিটা শব্দে একটা ছবি এঁকেছেন নীরবে এবং গভীরভাবে। কবিরা চিরকালই সবার মাঝে থেকেও একা, তাইতো তিনি অবলীলায় বলতে পারেন
"....মাঠের মাঝে দাঁড়িয়ে আছি একলা অমলতাস।"
কিন্তু এ লেখা কি শুধু সেই একাকী গাছের? তবে কেন লেখা হল"
...হাত বাড়ালেই আকাশ তবু মাটিতে সম্পৃক্ত।"....
শুধু কি তাই? না। আছে আরও অনেক কিছু। আছে ছন্দের সুনিপুণ ব্যাবহার, আছে অলঙ্কারের প্রয়োগ। কবিতার ব্যাকরণ থেকে একচুল না নড়েও যে সাজানো যায় ভাষা, গড়ে তোলা যায় সুন্দর মুহূর্ত কবি তা করে দেখিয়েছেন অবলীলায়।
Buy From :
সৈয়দ মুজতবা আলী সংকলন - এখানে রয়েছে তাঁর লেখা বিখ্যাত উপন্যাস ও গল্পগুলি।
Buy From :
প্রদ্যোত আশ , জন্ম পুরুলিয়ার তুলিন গ্রামে ২৭শে নভেম্বর১৯৮৯ । উচ্চপ্রাথমিকের পাঠ শেষ করে বাঁকুড়ার সোনামুখী থেকে বাংলা সাম্মানিক পর্যন্ত পড়াশোনা । সাহিত্য এবং সংস্কৃতির ঝোঁক বাবা ডাঃ শংকর চন্দ্র আশের হাতধরে ছোটবেলা থেকে । সোনামুখী তে থাকার সময় লগ্ন উষা সাহিত্য গোষ্ঠীর সাহচর্যে সাহিত্য চর্চার দিগন্ত উন্মোচিত হয় । তারপর পশ্চিমবঙ্গ সরকার পোষিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতার পেশাতে যোগদিয়ে পুনরায় পৈত্রিক গ্রামে ফিরে আসা । তুলিনে ফিরে এসে কথাসাহিত্যিক বিমল লামার সঙ্গলাভ । প্রদ্যোত মূলত কবি এযাবৎ দুটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে 'পুরুষের তৃতীয় চোখ ' এবং 'আবার পিয়াকে ' । সংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় জুটেছে রাজ্য সেরার শিরোপা । লেখালেখি করেন বাংলার বিভিন্ন লিটিল ম্যাগাজিনে । এইটি প্রথম গল্পের বই , রয়েছে চারটি গল্প।
Buy From :
ইমলি কে? বা ইমলি কার নাম? কেন ? সে কি শুধুই - "জন্মের পর মা আমায় চেটে দেখেছিল আমি খুব টক। তাই নাম রেখেছিল ইমলি। !, নাকি এর কোনো বৃহত্তর দ্যোতনা আছে?
ছোটবেলার খেলার মাঠ থেকে বালিকা উত্তীর্ন হয় নারীত্বে, গলির দুপাশে উঁচু উঁচু বড় বড় ব্রিটিশ আমলের সাবেকি বাড়ির লাল মেঝেতে আলতার ছাপ লেগে থাকে, অসতর্কতায় বেজে ওঠে শাড়ির খুঁটে বাঁধা চাবির গোছা, ছোট একদানা বুদবুদের মত একটা ছোট্ট কষ্ট আজকাল জানান দেয় সে আছে- ইমলির বুকের ভেতর।
উৎসব কি আসে ইমলির জীবনে ? ক্যানভাসে এঁকে রাখা জলের রং, গাছের পাতার সবুজ রং, বাহারি বুনো ফুলের রং, নীল আকাশ আর সাদা মেঘের রঙের জোয়ার কি আসে ইমলির জীবনে ?
Buy From :
যেমন প্রকাশ্য রঙ্গমঞ্চের উপরে নেপথ্যবিধান করিতে আরম্ভ করিলে অভিনয়ের রসভঙ্গ হয়, কাব্যসৌন্দর্য সমগ্রভাবে শ্রোতৃবর্গের মনের মধ্যে মুদ্রিত হয় না, সেইরূপ বঙ্কিমের কৃষ্ণচরিত্রে পদে পদে তর্কযুক্তি বিচার উপস্থিত হইয়া আসল কৃষ্ণচরিত্রটিকে পাঠকের হৃদয়ে অখণ্ডভাবে প্রতিষ্ঠিত হইতে বাধা দিয়াছে। কিন্তু বঙ্কিম বলিতে পারেন, "কৃষ্ণচরিত্র' গ্রন্থটি স্টেজ নহে; উহা নেপথ্য; স্টেজ-ম্যানেজার আমি নানা বাধাবিঘ্নের সহিত সংগ্রাম করিয়া, নানা স্থান হইতে নানা সাজসজ্জা আনয়নপূর্বক কৃষ্ণকে নরোত্তমবেশে সাজাইয়া দিলাম-- এখন কোনো কবি আসিয়া যবনিকা উত্তোলন করিয়া দিন, অভিনয় আরম্ভ করুন, সর্বসাধারণের মনোহরণ করিতে থাকুন। তাঁহাকে শ্রমসাধ্য চিন্তাসাধ্য বিচারসাধ্য কাজ কিছুই করিতে হইবে না। (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)
Buy From :
আলালের ঘরের দুলাল’ প্যারীচাঁদ মিত্রের লেখা একটি বাংলা উপন্যাস। লেখক এই উপন্যাসের জন্য টেকচাঁদ ঠাকুর ছদ্মনাম ব্যবহার করেছেন। উপন্যাসে উনিশ শতকের কলকাতা সমাজ এবং নায়ক মতিলালের বোহেমিয়ান জীবনধারা বর্ণনা করা হয়েছে। উপন্যাসটি বাংলা ভাষা এবং বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একটি ল্যান্ডমার্ক, কারণ এটি বাংলা ভাষার কথ্য রূপ-চলিত ভাষায় লেখা। উপন্যাসটিও প্রাচীনতম বাংলা উপন্যাসের একটি। “আলালের ঘরের দুলাল” বাংলা সাহিত্যের প্রথম উপন্যাস হিসেবে আখ্যায়িত। সমাজআলেখ্য হিসেবেও এটি সেকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রচনা। সেকালের কলকাতার বিত্তবান সমাজের সন্তানদের নীতিহীনতা ও উচ্ছলতা এতে নিষ্ঠার সঙ্গে অঙ্কিত। গ্রন্থটিতে কথ্যভাষার ব্যবহার করে বাংলা সাহিত্যে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেন প্যারীচাঁদ। উপন্যাসে প্রচলিত সহজ গদ্যরীতি "আলালী ভাষা" নামে পরিচিতি লাভ করে। সাধু ও কথ্যভাষার সংমিশ্রণ রীতিই ওই ভাষার বিশেষত্ব। উপন্যাসটি প্রথম মহিলাদের হিতকারী মাসিক পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়েছিল। পরে 1857 সালে এটি গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
Buy From :
হুতোম প্যাঁচার নকশা কালীপ্রসন্ন সিংহ রচিত আধুনিক বাংলা সাহিত্যের শুরুর সময়ে রচিত একটি গদ্য উপাখ্যান, যা তিনি “হুতোম প্যাঁচা” ছদ্মনামে লিখেছেন। এটি মূলত ব্যঙ্গ-বিদ্রূপাত্মক সামাজিক নকশা জাতীয় রচনা। এতে কলকাতার সামাজিক ব্যঙ্গচিত্র অঙ্কন করা হয়েছে এবং কলকাতার কথ্য ভাষাকে প্রথম সাহিত্যে স্থান দেওয়া হয়েছে। ১৮৬১ সালে “চড়ক” শিরোনামে একটি নকশায় এটি প্রকাশিত হয়, পরবর্তীতে ১৮৬৩ সালে প্রথম ভাগ এবং ১৮৬৪ সালে দ্বিতীয় ভাগ প্রকাশিত হয়।
Buy From :
ঊনিশ শতকের কলকাতা। বঙ্গ দেশের বাবুদিগের নিমিত্ত সে বড় সুখের সময়। দেশে আছে জমিদারি, আর রাজধানীতে বাসা। ঘরে সতী সাধ্বীর স্ত্রীদের সতীত্ব রক্ষা নিয়ে প্রবল আচার, বিধি নিষেধ আর বাইরে বারবধূ সংসর্গেই সামাজিক প্রতিষ্ঠা।সে বড়োই রঙ্গ। একদিকে মদ্যপান নিবারণে প্রবল হৈ চৈ আর অন্যদিকে দ্বার বন্ধ করে প্রবল মদ্যচর্চা।
চারিদিকে মদ খাওয়ার ওই রমরমা দেখে এগিয়ে এলেন কিছু সমাজমনষ্ক কিছু মানুষ। পত্র-পত্রিকাতেও লেখালিখি শুরু হলো। মদ্যপান বিরোধী ওই আন্দোলনে এগিয়ে এলেন এক ডিরোজিয়ান প্যারীচাঁদ মিত্র এবং ডেভিড হেয়ারের এবং হিন্দু কলেজের উত্তর-ডিরোজিও পর্বের ছাত্র প্যারীচরণ সরকার। প্যারীচাঁদ মিত্র মদ খাওয়ার বিরোধিতা করে ‘মাসিক পত্রিকায়’ কয়েকটি প্রবন্ধ লিখলেন এবং তারপর আজ থেকে একশ বাষট্টি বছর পূর্বে টেকচাঁদ ঠাকুর ছদ্মনামে ‘মদ খাওয়া বড় দায়, জাত থাকার কি উপায়’ নামে মদ্যপানের কুফল সম্পর্কে ব্যাঙ্গাত্মক এই উপন্যাসটি লিখে ফেলেন।
Buy From :
চারদিকে নদীবেষ্টিত একটি জনপদ। যার অধিকাংশ মানুষ জেলে আর কৃষাণ। এ জনপদের হিন্দু জেলেদের পদবী বিবেচনায় হয়তো গাঁয়ের নাম হয়েছিল জলদাস গাঁ। এ গাঁয়ের হাজারো মানুষের সুখ-দু:খ, আনন্দ-বেদনা, জীবনাচার আর ঝড়-জলে বাঁচা-মরার সংগ্রামের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে"জলদাস গাঁ- অসমাপ্ত কথামালা"য় প্রতিটি পাতায়।
দক্ষিণ ভারতের চেন্নাইর বিখ্যাত লেখক ‘রাশিপুরাম কৃষ্ণস্বামী আইয়ার নারায়নস্বামীর’ জীবনভিত্তিক কাহিনিকাব্য Malgudi Days অনুপ্রাণিত করেছে লেখককে ‘জলদাস গাঁ-অসমাপ্ত কথামালা’ লিখতে। সে হিসেবে Malgudi Days এর স্বাদ কিছুটা হলেও পাওয়া যাবে বাংলাদেশের চরজীবী দরিদ্র জলদাস গাঁয়ের গল্পগুলোতে। আধুনিক শহরকেন্দ্রিক সভ্যতার ভেতরেও, জলদাস গাঁ নামক চরের মানুষেরা কিভাবে বেঁচে থাকে, তার সপ্তবর্ণা চিত্রায়ণ হচ্ছে "জলদাস গাঁ - অসমাপ্ত কথামালা"।
Buy From :
ফ্যান ফিকশন ধারণাটা বাংলাসাহিত্যে যে খুব নতুন তা আর বলা যাবে না, এখন তা বেশ ভালই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাঙালী পাঠককূলে সবথেকে বেশী জনপ্রিয় গোয়েন্দাচরিত্রগুলোর অন্যতম ফেলুদা, তাকে নিয়ে এর আগেও একটি ফ্যানফিকশন লিখেছেন এই লেখক, সেই লেখা পাঠকমহলে সমাদৃত হওয়ার পর এবার এলো আরো দুটি বড় গল্প ফেলুদাকে নিয়ে।
আশা করি এটিও পাঠকদের সমাদর পাবে।
Buy From :
“মেঘকেতন” পরিণতমনা পাঠক-পাঠিকাদের জন্য রচিত “রূপন্যাস”( রূপকথা - উপন্যাস )। এই রূপন্যাসের বৈশিষ্ট্য এই যে , এর মধ্যে রাজা - রাণী, রাজপুত্র - রাজকন্যা , দানব ইত্যাদি থাকলেও প্রচলিত রূপকথায় সব কিছু আমরা যেভাবে ঘটতে দেখি , এখানে সেভাবে ঘটে না। অন্য রূপকথা শুধুই দেখায় আর শোনায়। ”মেঘকেতন”তার সঙ্গে ভাবাবেও , এই আমাদের ধারণা। পাঠক - পাঠিকা সজাগ এবং মনস্ক থাকলে স্তরের পর স্তর অভিনবত্বের উন্মেষ ঘটবে তাঁদের দৃষ্টি এবং বোধের সম্মুখে।
এ কাহিনীতে রাজা এবং রাজপুত্রেরাই শুধু যুদ্ধ এবং অন্যান্য বিদ্যায় পারদর্শী নন। রাণী এবং রাজকন্যারাও তাঁদের যোগ্য সহযোগিনী। অন্য রূপকথায় রাজা - রাজপুত্রদের বীরত্বের কথা থাকে। এখানেও আছে। কিন্তু সেইসঙ্গে আছে তাঁদের ধীশক্তির পরীক্ষা , রহস্যের অবগুণ্ঠন উন্মোচনে দক্ষতার পরিচয়। আছে এমন আরও অনেক প্রাপ্তির সম্ভাবনা , যা পাঠক - পাঠিকা নিজেরাই আবিষ্কার করুন এমনটিই লেখকের সাগ্রহ আকাঙ্ক্ষা ।
Buy From :
পুরুলিয়া রুখামাটি সংবাদের শারদীয় সংখ্যা , বিশেষ আকর্ষণ সত্যজিৎ রায় জন্মশতবার্ষিকী ক্রোড়পত্র , রয়েছে ফেলুদা, শংকু এবং তারিণী খুড়োর কাহিনী। সঙ্গে আরো কবিতা এবং গল্পের সম্ভার।
Buy From :
“যখন হারাবার কিছু থাকে না তখন জীবনটা যেন বন্ধনহীন হয়ে দেখা দেয়। অমিত সম্ভাবনা নিয়ে যার প্রগতি হচ্ছে, মসৃন পথে যে সদম্ভে ঝরঝর করে এগিয়ে যাচ্ছে, সে সদা পদস্খলনের ভয় পায়। সদ্য চাকরি ছাড়ার দরখাস্ত দিয়ে আশু মুক্তিপ্রাপ্তির আশা নিয়ে অরণ্য আজ থেকে ঊনপঞ্চাশ বায়ুবেগে চলতে থাকবে। “
অরণ্য হয়ত বা আপনিই, যদি আপনার নিজের কৈশোরের তারুণ্যের যৌবনের দিন গুলির কথা আপনি স্মৃতিপটে ভেসে ওঠে। কেমন ছিল কোন সদ্য কিশোরীর মুখের অভিঘাত, কেমন ছিল কোন তরুণীর হাসিমুখের দিকে চেয়ে থাকা দিনগুলি… কিন্তু শুধু প্রেম ই তো নয়, সদ্য চাকরিতে ঢোকার পর কি সামনাসামনি হতে হয়নি নানা চ্যালেঞ্জের…এই সব নিয়েই অরণ্য জাতক , আরবান লিজেন্ড নয়, আমার আপনার জীবনের ই কাহিনি ।
Buy From :
এই বইয়ে আছে আমার জীবন ও কবিতার সম্পর্ক নিয়ে কিছু আত্মানুসন্ধান ও উন্মোচন। এখানে আমি অনেক কিছু বলেছি, যা আগে কখনো বলিনি। তবে শুরুতেই জানিয়ে রাখা যাক, সাহিত্যতত্ত্বের জ্ঞানগম্যি ও পড়াশোনা আমার খুব কম। এই বইটা তাই আমার কাছে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। মনোজগতের রহস্যময় স্তরে স্তরে যে আলো-অন্ধকার, সেখানে কিছুটা আলোকপাতের চেষ্টা করেছি। সেই আন্তরিক অনুসন্ধান থেকে বেরিয়ে আসে না কোনো উত্তর, শুধু কিছুটা আন্দাজ পাওয়া যায় কেমন তার সময়পথের জ্যামিতি, তার মেঘ-কুয়াশা, সকল দুরূহ নির্বাচন। জন্ম থেকে শুরু করে ক্রমে একক একটা গাছের মতো অনেক ঝড়-ঝাপটা সামলে বেড়ে উঠে, তারপর যেভাবে আমার কাজকর্ম, ভাবনা-চিন্তা ডালপালা ছড়িয়েছে সমকাল অব্দি। আমার মনে পড়ছে, ওপ্রা উইনফ্রে-কে দেওয়া একটা বিখ্যাত সাক্ষাৎকারে পাওলো কোয়েলহো বলেছিলেন, নিজের অন্তরের সাথে যুক্ত হয়ে থাকার কথা। বলেছিলেন, “অন্তরের কথা শোনো, অন্তর সব জানে, কেননা তার সাথে যোগ আছে বিশ্বআত্মার।’ – আমার এই বইয়ে সেই অন্তর্জগতের কথাই আমি কিছুটা অকপটে বলতে চেয়েছি। এই লেখায় আছে আমার ছোটোবেলা থেকে আজ অব্দি যে বিস্ময়কর সময়প্রবাহ, সেই অলৌকিক ট্রেক থেকে আহরিত নানা স্মৃতিচিত্র ও কিছু ব্যক্তিগত অনুভব, যা নিজের কবিতার জগৎকে ক্রমে ভরিয়ে তুলেছে রহস্যময় সৌন্দর্যে, বিষাদে ও জটিলতায়; কবিতার অন্তরালের সেইসব শব্দ, বর্ণ, স্রোত।| কখনো মনে হয়েছে, এমন একটা বই লেখা কি জরুরি ছিল? আবার মনে হয়েছে— হয়তো রং-তুলির সাথে, শব্দ ও সুরের সাথে, আলো-হাওয়া-জল-মাটির সাথে, শৈশবের স্মৃতিচিত্রের সাথে, ফার্নের্স ও চিমনির সাথে আমার নিরালা সম্পর্কগুলোর কিছু কথা বলা যেতে পারে পাঠককে। বিশেষত সেই বাঁকগুলো, যার কথা জানতে চেয়েছেন অনুজ কবিরা, যাঁদের অনুরোধে লিখতে বসেছিলাম।
Buy From :
Copyright © Boiraag Publication- বইরাগ পাবলিকেশন - All Rights Reserved.