প্রবাসে দৈবের বশে' সাতটি ছোট গল্পের সংকলন। এক প্রবাসী বাঙালী, অনুষ্টুপের সফরনামা। তার জীবন, তার পরিবার, সম্পর্কের ভাঙা গড়া, ভ্রমণ অভিজ্ঞতা, এই সবকিছু নিয়েই লেখা এই ধারাবাহিক।
গল্পের সূত্রপাত অনুষ্টুপের মধ্যবিত্ত পরিবারে। অনুষ্টুপ সাহিত্যিক হতে চেয়েছিল। কিন্তু পরিবার আর সমাজের চাপে সে ইচ্ছায় জলাঞ্জলি দিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং পরে পারিবারিক ইচ্ছায় উচ্চশিক্ষার্থে বিদেশ যাত্রা করে। নিজের অনিচ্ছায়, স্বজনদের থেকে দূরে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে হতাশা গ্রস্ত অনুষ্টুপের ঘুরে দাঁড়ানো এবং সবকিছু আবার নতুন করে, অপ্রত্যাশিত এবং অন্যরকম ভাবে ফিরে পাওয়ারই গল্প 'প্রবাসে দৈবের বশে'।
Buy From :
বাড়িটা আসলে কার- যার জমি না যার ইট বালি সিমেন্ট অজিত ঘোষাল ভেবে ভেবে কোনো কূল কিনারা পান না। বাড়ি করতে শুধু ইট, কাঠ, বালি ছাড়াও যে স্বপ্ন লাগে— সেই স্বপ্ন টুকু শুধু তাঁর।
মেয়েদের কি ঘর হয়। ঘরের ঘেরাটোপে আর রাষ্ট্রের উঠোনে সন্ত্রাসের চেহারা পাল্টায় না। সে জেনেছে সম্প্রদায়বোধ কিভাবে সৃষ্টি হয়, কিভাবে হঠাৎ জেগে ওঠে একটি জাতিসত্বা। এর প্রথম প্রক্রিয়াই বিচ্ছিন্নকরণ। মানুষকে যখনই বহুত্বের অস্তিত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়, সামনে লোভনীয় কোনো গাজর ঝুলিয়ে, তখনই সে একাকী, কোণঠাসা, সন্দিগ্ধ এবং হিংস্র। এই বিচ্ছিন্নতা কোনো নির্জন এককের গানের জন্ম দেয় না, দেয় না সাধকের মগ্নতা। বৃহতের শুভবোধ থেকে বিচ্ছিন্ন মানুষ কেবলই হিংসা ছড়ায়।
তবুও বাড়িঘর শব্দটি নারীর বুকে জাগায় এক আশ্চর্য দ্যোতনা। সে সব নিয়েই এই গল্প।
Buy From :
তন্ত্র-সম্পর্কে সাধারণ বাঙালীর ধারণা আদৌ স্বচ্ছ নয়। হয় তন্ত্রকে একটি অতি জটিল, প্রায়-অনাচরণীয় ধর্মপদ্ধতি হিসাবে গণ্য করা হয়, নয় অসামাজিক ও অশালীন পঞ্চ‘ম’-কার চর্চার মার্গরূপে জ্ঞান করা হয়। কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের ‘তন্ত্রসার’ গ্রন্থটি দুষ্প্রাপ্য এবং তন্ত্রশাস্ত্রের আরও যে-সব বই পাওয়া যায় তা সকলের বোধগম্য নয়। এই 'তন্ত্রের কথা' গ্রন্থে লেখক অতি সহজ কথায় তন্ত্র ও তান্ত্রিক সাধনার বিভিন্ন ধারার আলোচনা করে একটি সুসম্পূর্ণ রূপরেখা দেওয়ার প্রয়াস করেছেন। পাঠকেরা তন্ত্র সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য তো পাবেনই, সাথে বাঙ্গালির তন্ত্রচর্চার ইতিহাসও জানতে পারবেন।
Buy From :
রাজশেখর বসু অনুবাদ কৃত মূল বেদব্যাস রচিত মহাভারত। দুই খন্ডে সমাপ্ত !
Buy From :
প্রথম খন্ড
দ্বিতীয় খন্ড
নারী জীবনের কথা, তাদের চাওয়া পাওয়া, আর নক্ষত্র-দীপ্তিতে ভাস্বর হয়ে ওঠার গল্প , সেই সব নারী যারা স্বকীয়তাতেও উজ্জ্বল নক্ষত্র, তাদের তেইশটি গল্প।
Buy From :
কালীপ্রসন্ন সিংহ অনুবাদ কৃত মূল বেদব্যাস রচিত মহাভারত। পাঁচ খন্ডে সমাপ্ত!
Buy From :
প্রথম খন্ড
দ্বিতীয় খন্ড
তৃতীয় খন্ড
চতুর্থ খন্ড
পঞ্চম খন্ড
সুকুমার রায়কে আমরা মূলতঃ বাংলা হাস্যকৌতুক শৈলীর পুরোধা বলেই জানি। কিন্তু তাঁর পরিচয় বহুমুখী। সন্দেশ পত্রিকার জন্যে তিনি লিখতেন ছোটদের উপযোগী অনেক প্রবন্ধ। তার বিষয়বস্তু ছিল অনেক ছড়ানো , বিজ্ঞান থেকে ইতিহাস সেগুলি ছুঁয়ে গেছে সব কিছুকেই। আর আজ এত বছর পরেও এগুলোর প্রাসঙ্গিকতা ফুরিয়ে যায় নি।
শিশু যখন বড় হয়ে উঠতে থাকে তখন এই বিপুল আর আশ্চর্য পৃথিবীর নানা রহস্য তাকে ভাবিয়ে তোলে , ঠিক এই সময়ের উপযোগী করেই লেখা হয়েছিল এই প্রবন্ধগুলি। তবে নিতান্ত বড় বয়সেও খারাপ লাগেনা পড়তে ।
Buy From :
লেখকের তরফ থেকে কল্পনার ঘোড়া ছোটানো বা পাঠকের পক্ষ থেকে অভিনব কল্পনার রস আস্বাদন করা, দুটোই হয় ফ্যান্টাসিতে। আর সেটাও যদি হয় এপিক বা হাই ফ্যান্টাসি, তাহলে চাওয়া-পাওয়ার হিসেবটা আরো বেড়ে যায়। সম্ভবত সবচেয়ে বেশি কল্পনা শক্তির প্রয়োগ ঘটে এ জনরাটিতেই। একদম গোড়া থেকে একটা দুনিয়া গড়ে তোলা, সে দুনিয়ার ভূখণ্ড, নিয়ম কানুন বা ইতিহাস, মানুষ বা অন্যান্য জীবের প্রজাতি, সে দুনিয়ার বিজ্ঞান যেটা অনেক ক্ষেত্রেই আবার জাদুর মতো অভিনব ব্যাপার সমর্থন করে বিভিন্ন উদ্ভিদ, মানব সংস্কৃতি; কাজ করার সুযোগ থাকে অনেক কিছুতেই। পাঠকও এ জনরায় খুঁজে পায় বুঁদ হয়ে থাকার মতো হাজারও উপাদান।
এইসব মাথায় রেখেই দাবনিশ লেখা শুরু। দাবনিশ আখ্যান হবে একটা সিরিজ। আসমানের আঁধার এর শুরু ।
Buy From :
পরশুরামের গল্পের জনপ্রিয়তার পিছনে বড় কারণ এদের কৌতুক, wit, humour আর satire, এই তিনধরণের কৌতুকের মধ্যে পরশুরাম বেছে নিয়েছিলেন satire কেই। আর তার ফল অমর সব চরিত্র , গন্ডেরিরাম বাটপারিয়া, কারিয়া পিরেত, জাবালি পত্নী হিন্দ্রলিনী। শ্যামানন্দ ব্রহ্মচারী, বিরিঞ্চিবাবা, হনুমান প্রেমিকা চিলিম্পা— আরও কত সব।
প্রখর বুদ্ধির দীপ্তিতে উজ্জ্বল তাঁর হাস্যরসাত্মক গল্পগুলি জীবনের নানা অসঙ্গতিকে অবলম্বন করে রচিত। দীর্ঘকাল তাঁর এইসব রচনা বাঙালীকে নির্মল আনন্দ দিয়েছে। আশা করি পাঠকের ভালো লাগবে।
Buy From :
যা নেই ভারতে তা নেই ভারতে , এই কথাটা কেন বলা হয় ? তার একটা কারণ মহাভারতে ছড়িয়ে থাকা আখ্যান সমূহ, বেশির ভাগ সময়ই এই সব আখ্যানের সরাসরি কোনো যোগ নেই মূল কাহিনীর সঙ্গে। কিন্তু এগুলো বলা হয়েছে উপদেশ দেবার ছলে। এর থেকেই বোঝা যায় প্রাচীন ভারতীয় মন ও মানসিকতা। কেমন ছিল তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থা, কেমন ছিল তৎকালীন মরাল , নীতি দুর্নীতির মাপকাঠি। সেই জন্যেই এই গল্পগুলিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। আর মহাভারতে বর্ণিত এই সব আখ্যান সমূহের্ সংখ্যা কিন্তু কম নয়। এগুলি কে নিয়েই আলাদা ভাবে এই বই।
Buy From :
গল্পগুলি বহুমাত্রিক , খানিকটা চেনাজানা নাগরিক জীবন থেকে সুদূর মেহেরগড় সভ্যতা বা মহাভারতের পাণ্ডবরা অথবা ব্রহ্মগুপ্ত , লেখকের কলম ধরেছে নানা সময়কাল কে নানান আঙ্গিকে ,কখনো বা এসে গেছেন ও-হেনরি। এই বহুমাত্রিকতাই এই গল্প সংকলটির নির্যাস।
Buy From :
গিরিশচন্দ্র,বিনোদিনী, অমৃতলাল, শিশির ভাদুড়ি, শম্ভু মিত্র, বাংলার নট-নটীদের পরম্পরা সুদীর্ঘ , রঙ্গমঞ্চ শব্দটার উৎপত্তি ও অনেককালের তবে বর্তমানে তা জুড়ে যায় স্টার, মিনার্ভা ইত্যাদির সাথে যেগুলোর অস্তিত্ব আজ আর হয়তো আর নেই কোথাও ।
এই উপন্যাসে আসলে রঙ্গমঞ্চও একটি চরিত্র , আর আছে নাট্যপ্রেমী শৈলেশ, আছে দেহপোজীবিনী নীহার , শৈলেশের সঙ্গে যার পরিচয় হয় এই রঙ্গমঞ্চের সূত্রেই , আর জীবন নাটক গড়াতে থাকে।
এই উপন্যাসের সময়কাল ও পুরাতন , গিরিশ ঘোষের যুগ শেষ হয়েছে তখন। চলছে শিশির-অহীন্দ্র যুগ। সাধারণ লোকে যেমন ভাবে , এই নাট্যমঞ্চের সঙ্গে যুক্ত লোকজনের জীবন কি শুধুমাত্র সুরার গন্ধ আর অবৈধ সম্পর্কের রসায়নে ভরপুর? নাকি এর পেছনে রয়েছে অধ্যবসায়, নিষ্ঠা ও অক্লান্ত পরিশ্রমও ? এই উপন্যাসে শৈলেশ নীহারের মাধ্যমে লেখক তুলে ধরতে চেয়েছেন রঙ্গমঞ্চের যবনিকার অন্তরালের ছবি ।
Buy From :
জীবনের সম্পর্কের সমীকরণ গুলো হামেশাই চেষ্টা করে নিজের মতো করে একটা সুন্দর সম্পর্কের বাতাবরণ তৈরি করতে, তাদের নাম আলাদা, সংজ্ঞাও আলাদা , সেই বাতাবরণে একটি নতুন সম্পর্কের সমীকরণ কি হতে পারে "পার্টনার" ? সে নিয়েই এই গল্প।
Buy From :
জীবন যেন অন্তহীন এক সমুদ্র
তার ক্ষুদ্র মাত্র বিন্দু আমাদের এই মন
সেই মনে লুকানো যত স্বপ্নের সমুদ্র.....
কিন্তু জীবন সবসময় সোজাপথে চলে না , সেই পথের ধাঁধায় কি হারিয়ে যাবে ওঙ্কারনাথ?
Buy From :
ভাবতে অবাক লাগে যে রতিরঙ্গ ধ্রুপদী ভারতীয় সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ছিল প্রাক ইসলাম পর্বেও, মধ্যযুগে এসে তা যেন একটি বদ্ধ নীতিবাগীশ শাসনে শুধু মুখ লুকিয়েই থেকে গেল। বৈষ্ণবপদাবলীতে রাধা-কৃষ্ণের প্রেম মুক্তি পেলেও তা দেহাতীত নিকষিত হেম হয়ে সীমারেখা টেনে সামলে নিল। মানুষ মানুষীর মিলন মান্যতা পেল না। যৌনতার বিষয়ে মঙ্গলকাব্যেও সেই সাবধানী গা বাঁচানো রীতিটিই অকারণে বহাল রইলো।
অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগে ভারতচন্দ্র যেন 'প্রমিথিয়ূস' হয়ে এসে সেই নিষিদ্ধ রতিমঞ্জরীটিকে রসিকজনের সামনে নতুন অলঙ্কারে সাজিয়ে আনলেন। বাংলাভাষা সমৃদ্ধ হল ফার্সী আর হিন্দীর শব্দপ্রয়োগে। এভাবেই নিশ্চুপ হয়ে ভারত কৃষ্ণনগরে বসে বসে ধীরে ধীরে প্রাক উনিশশতকের আধুনিক ভাষা প্রবাহের প্রথম ইঁটটি গাঁথলেন। একদিন সেই পথ দিয়েই স্বচ্ছসলিলা ভাষার গঙ্গাটিকে বয়ে আনবেন ভগীরথসদৃশ স্বয়ং বিদ্যাসাগর।
'ভারতমঙ্গল' আদতে একটি উপন্যাস ই। ইতিহাস বর্ণনা নয়, বরং ইতিহাস যাপন। কল্পনা ও সত্যের মিশেলে সেই দিনগুলিতে একটু স্বপ্নিল পদচারণের প্রচেষ্টা মাত্র।
Buy From :
যে যা প্রকৃতি নিয়ে জন্মেছে, সেটা নিয়েই তো আলো জ্বালাতে হবে । কোনটা আশীর্বাদ আর কোনটা অভিশাপ তা বিচার না করে কি জীবন কে বয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না ? সেই গল্পই হচ্ছে তন্তু।
Buy From :
ভয় কী? ভয় কি একটি শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, নাকি পুরোটাই মনস্তাত্ত্বিক? মানুষ আসলে ভয় পায় কেন? কী কী জিনিসে বা কী কী কারণে ভয় পায় মানুষ ?
অশুভ কোনও অজানা আশঙ্কা থেকে 'ভয়'–এর সৃষ্টি। কিন্তু মানুষ মাত্রেই অন্ধকারকে ভয় পায়, অস্বস্তি বোধ করে, মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, এর মূল কারণ আমাদের জিনে মিশে আছে প্রাচীন অন্ধকার, আদিম অন্ধকারে বসবাসের অভিজ্ঞতা।
সৃষ্টির ঊষালগ্নে মানুষ ছিল বড় অসহায়। গুহা বা অন্য প্রাকৃতিক আধারে তাদের নিতে হত আশ্রয়। কিন্তু আগুনের আবিষ্কার সবকিছু বদলে দিল। আগুন অজানা অন্ধকারকে চিনতে সাহায্য করল। সভ্যতা এগোল। তার সাথে সাথে এগোল মানুষের চিন্তাভাবনা, মানুষ আরও পরিণত হতে থাকল। মানুষ কল্পনা করতে শিখল, অব্যাখ্যাতক লৌকিকতার ঊর্ধ্বে উঠে বুঝে নিতে চাইল। গল্প-কাহিনিরা জন্ম নিল। তার হাত ধরাধরি করে এল সাহিত্য। আর সাহিত্যের একটা বড় অংশ অধিকার করে থাকল ভয়, ভয়ের গল্প, ভূতের গল্প, অলৌকিক গল্প। আসলে, এই বিশ্বচরাচর - সৃষ্টির আদিম কথাটাই হল ভয়। সমস্ত প্রাণী জগতের অন্তরের মর্ম জগতে অবস্থান করে ভীতি।
এই রকম গল্প পড়ার অভিজ্ঞতাই আলাদা, আর সেইসব গল্প যদি হয় বিশ্বের খ্যাতনামা সাহিত্যিকদের, তাহলে তো সোনায় সোহাগা!
বাছাই করা বিশ্ব সাহিত্যের প্রতিনিধিত্বমূলক কিছু অন্ধকার গল্পের অনুবাদ করেছেন মিতা ঘোষ। 'অন্ধকার নামছে' - সেই অনুপম গল্পগুলির বাংলা সংকলন।
Buy From :
Copyright © Boiraag Publication- বইরাগ পাবলিকেশন - All Rights Reserved.