সুকান্ত ভট্টাচার্য ! সুকান্ত ভট্টাচার্যের জীবন মাত্র মাত্র ২১ বছরের আর লেখালেখি করেন মাত্র ৬/৭ বছর। পরাধীন দেশের দুঃখ দুর্দশাজনিত বেদনা এবং শোষণ মুক্ত স্বাধীন সমাজের স্বপ্ন, শোষিত মানুষের কর্ম জীবন এবং ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য সংগ্রাম তাঁর কবিতার মূল প্রেরণা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, তেতাল্লিশের মম্বন্তর, ফ্যাসিবাদী আগ্রাসন, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রভৃতির বিরুদ্ধে তিনি কলম ধরেন। অসুস্থতা অর্থাভাব তাকে কখনো দমিয়ে দেয়নি। মানুষের কল্যাণের জন্য সুকান্ত নিরন্তর নিবেদিত থেকেছেন। মানবিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য বাংলা কাব্যধারার প্রচলিত প্রেক্ষাপটকে আমূল বদলে দিতে পেরেছিলেন।
সুকান্তের বাল্যবন্ধু ছিলেন কবি অরুনাচল বসু। এই বইয়ে অন্তর্ভুক্ত সুকান্তের চিঠিগুলির বেশিরভাগই অরুনাচল বসুকে লেখা। আর সঙ্গে রয়েছে তাঁর রচিত সমস্ত কবিতা।
Buy From :
ঘড়িতে রাত দশটা ! ঝড়বৃষ্টি আসবার আশু সম্ভাবনা ! কে সমস্ত আকাশটিকে একখানি একরঙা মেঘের ঘেরাটোপ পরিয়ে দিয়েছে, এবং সে রং কালোও নয়, ঘনও নয়; কেননা তার ভিতর থেকে আলো দেখা যাচ্ছে। ছাই-রঙের কাচের ঢাকনির ভিতর থেকে আলো দেখা যায়, সেইরকম আলো। আকাশ-জোড়া এমন মলিন, এমন মরা আলোতে বাইরে যা-কিছু আছে, সব কিরকম নিস্পন্দ, নিস্পন্দ, নিস্তব্ধ হয়ে গেছে; যা জীবন্ত তাও মৃতের মত দেখাচ্ছে; বিশ্বের হৃৎপিণ্ড যেন জড়পিণ্ড হয়ে গেছে, তার নিশ্বাসরোধ হয়ে গেছে, রক্ত-চলাচল বন্ধ হয়েছে; মনে হচ্ছে যেন সব শেষ হয়ে গেছে যেন আর এক পৃথিবীর আর এক আকাশ;-দিনের কি রাত্তিরের বলা শক্ত।
এ আলোর স্পর্শে পৃথিবী যেন অভিভূত, স্তম্ভিত, মূৰ্জিত হয়ে পড়েছিল। চারপাশে তাকিয়ে দেখি,গাছ-পালা, বাড়ী ঘর-দোর, সব যেন কোনও আসন্ন প্রলয়ের আশঙ্কায় মরার মত দাঁড়িয়ে আছে ! পৃথিবীর উপরে সে রাত্তিরে যেন শনির দৃষ্টি পড়েছিল।
আর এরকম পরিস্থিতিতে আটকে পড়েছে চার ইয়ার। সেন, সীতেশ, সোমনাথ এবং আমি।
সেন বল্লেন—”যেরকম আকাশের গতিক দেখছি, তাতে বোধ হয়। এখানেই রাত কাটাতে হবে।”
কি ঘটলো সেই রাতে? চেনাজানা পরিধি ছাড়িয়ে চার ইয়ার কি অন্য কিছুর স্পর্শ পেলো ? পড়ুন প্রমথ চৌধুরীর অনবদ্য গ্রন্থ -চার ইয়ারি কথা।
Buy From :
প্রমথ চৌধুরীর পঞ্চাশটি সনেট সংকলন। কবিরাগুলি প্রায় সবই ১৪ লাইনের। পাঠকের আশা করি ভালো লাগবে।
Buy From :
বঙ্কিমচন্দ্র লিখিয়া গিয়াছেন,—“গ্রীণলণ্ডের ইতিহাস লিখিত হইয়াছে; মাওরি-জাতির ইতিহাসও আছে; কিন্তু যে দেশে গৌড়-তাম্রলিপ্তি-সপ্তগ্রামাদি নগর ছিল, সে দেশের ইতিহাস নাই।” উপাদানের অভাবকে ইহার প্রকৃত কারণ বলিয়া স্বীকার করা যায় না;—অনুসন্ধানচেষ্টার অভাবই প্রধান অভাব। যাহারা স্মরণাতীত পুরাকাল হইতে, বংশানুক্রমে এ দেশে বাস করিতে গিয়া, নানাবিধ জয়-পরাজয়ের ভিতর দিয়া বর্ত্তমান অবস্থায় উপনীত হইয়াছে, তাহাদিগের সহিত দেশের ইতিহাসের সম্বন্ধ সর্ব্বাপেক্ষা অধিক। তাহারা তথ্যানুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইলেই, অনুসন্ধান-চেষ্টা প্রকৃত পথে পরিচালিত হইতে পারে। ইহা এখন সকলেই মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিতেছেন। "
সত্যি কথা বলতে কি বাঙালির কাছে গৌড় , পালবংশ কি সেন বংশের নাম অচেনা না , আছে নানা গল্পগাথাও। কিন্তু যদি একলপ্তে গৌড়ের প্রাচীন ইতিহাস যা কিনা পালবংশ থেকে শুরু হয়ে সেনবংশ হয়ে খিলজীতে এসে থামে, সে সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে এই বইটি আপনার জন্যেই।
Buy From :
দশটি ছোটগল্পের সমাহার। চিত্রকর যেমন তুলির ছোঁয়াতে ক্যানভাসে জীবনের নানান চিত্র ফুটিয়ে তোলেন, লেখক সেটাই করেছেন শব্দের মাধ্যমে।
তাই এই গল্পগুলি পাঠককে ভাবাবে, ডুবিয়ে দেবে হয়তো কোন এক স্মৃতিতে।
Buy From :
কে না এডভেঞ্চার ভালোবাসে? আর তা যদি হয় এই চিরপরিচিত সমতল বাংলার ভূমি থেকে বহু বহু দূরে গহীন, বন্য, সভ্যতার আলোকহীন আফ্রিকায়, mountain of moon এ। বিভূতিভূষণ লিখেছিলেন এরকম কিছু এডভেঞ্চার যার সবকটিতেই আছে পাড়াগেঁয়ে বাঙালি। অত্যন্ত স্বাদু এই উপন্যাস গুলি প্রিয় সব বয়সেরই।
Buy From :
বিভূতিভূষণের উপন্যাসের পটভূমি পল্লীবাংলার গ্রামাঞ্চল এবং শহর জুড়ে বিস্তৃত। এখানে আছে চব্বিশ পরগনা, নদীয়া, যশোর প্রভৃতি জেলার গ্রামাঞ্চল, বনগাঁ, রাণাঘাট মহকুমা শহর এবং কলকাতা মহানগরী। বিভূতিভূষণের সমগ্র উপন্যাসের কালগত বিস্তারও খুব সামান্য নয়। সমালোচক শ্রী সৌরেন বিশ্বাস জানিয়েছেন—“বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাসে ১৮৩০ খ্রীস্টাব্দ থেকে ১৯৪৩ খ্রীস্টাব্দ পর্যন্ত কালগত বিস্তার বিদ্যমান”
শহরের জীবনে যখন নিরবচ্ছিন্ন ক্ষতির খতিয়ান—তখন এই বাংলাদেশেরই গ্রামপ্রান্তে একটা ‘সব পেয়েছি-র জগৎ' আছে। সেখানে দারিদ্র্য, দুঃখ, বেদনা, শোক সবই আছে, কিন্তু তাদের সমস্ত কিছুতে এমন একটি প্রশান্তি বিকীর্ণ হয়ে রয়েছে যে তার আশ্রয়ে এখনো নিশ্চিন্তে নিমগ্ন হয়ে থাকা যেতে পারে।
সে ধরণের উপন্যাসগুলিই এখানে একত্রিত করা হয়েছে।
Buy From :
আচার্য্য যদুনাথের মধ্যে ইতিহাস রচনার দু'টি দিক বিশ্লেষণাত্নক বিজ্ঞানধর্মী ও কাহিনী নির্ভরতার অনবদ্য সমন্বয় সাধিত হয়েছিল। ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা তাঁর লেখা ইতিহাসকে কাষ্ঠশুষ্কতার পরিবর্তে প্রাঞ্জল ও সুখপাঠ্য করেছে। যদুনাথের মতে, লেখা হওয়া উচিত প্রাঞ্জল ও সংহত, সব তথ্য একত্রে সন্নিবিষ্ট করা সম্ভব নয়, লেখকের উচিত নিরপেক্ষভাবে তথ্য নির্বাচন।
যদুনাথ মনে করতেন, সাল-তারিখের ঘেরাটোপের বাইরেও ইতিহাসের একটি ব্যাপক রূপ আছে যা কাব্যধর্মী। তাঁর কথায়, "ইতিহাসকে যে আর্যগন ইতিকাব্য নাম দেন, সেটা বিদ্রূপের বিষয় নহে, এই নামের মধ্যে একটি নিগূঢ় মানব-সত্য নিহিত আছে।" তাঁর ব্যাখ্যায়, "ঐতিহাসিকের পক্ষেও কল্পনাশক্তির আবশ্যক। সত্যের ভিত্তিতে স্থাপিত সহস্র সহস্র ক্ষুদ্র তথ্যের সমাবেশের ফলে গঠিত, সংযত নিয়ন্ত্রিত কল্পনার সাহায্যে অগ্রসর, কবির মহান গঠনশক্তিতে রচিত, ভাষা ও ভাবের সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যে যে ইতিকাব্য, তাহাই প্রকৃত ইতিহাস নামের যোগ্য।"
তার লেখা অসংখ্য গ্রন্থের মধ্যেও "শিবাজী" একটি বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছে, মুঘল যুগের পতনের ক্ষেত্রে আচার্যের কাজ যেমন অমূল্য, তেমনই শিবাজী ও আসলে তার সেই কাজেরই একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
Buy From :
কবিতা বাচিক শিল্পের পরিধিতেই আবদ্ধ নয়,কবিতা বৈশ্বিক,কবিতা হল কবি আর পাঠকের মধ্যের সেতু রচয়িতা। আবার জ্ঞান সংরক্ষণ ও বিতরণের প্রাচীন অবলম্বন হচ্ছে আবৃত্তি। আবৃত্তি হচ্ছে শিল্পীর স্মৃতির ধারাবাহিক সবাক চিত্র। শিল্পী যে কাজ করেন রঙ দিয়ে, কবি যে কাজ করেন শব্দ দিয়ে, আবৃত্তি শিল্পী সে কাজ করেন কণ্ঠস্বর দিয়ে। আবৃত্তিকারের নিজস্ব আবেগ, অনুভব, মেধা, মনন, বোধ ইত্যাদির সমন্বিত প্রয়োগে উচ্চারণের বিশুদ্ধতা রক্ষা করে কবিতার অন্তর্নিহিত মর্মার্থের বাচিক উপস্থাপনাই হচ্ছে আবৃত্তি - এ সব কথা আমরা জানি ও বুঝি। তাই বাচিক শিল্পের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অংশ অবশ্যই কবিতা।
এই কবিতাগুলি নানা সময় পাঠ করেছেন নানা বাচিক শিল্পী। তাই এই একশোটি কবিতাকে দুই মলাটের মধ্যে আনার সময় "বাচিকের কন্ঠস্বরে নির্বাচিত শতক" নামটিই যথাযথ বলে মনে হল ।
বাকি সবকিছু পাঠকের ওপরে ছেড়ে দিলাম।
Buy From :
“আসার রাস্তা যেমন ফুরোতে চায় না, ফেরার রাস্তা ঠিক উল্টো। বৃষ্টি আসবে? অনন্ত একবার উপরে মুখ তুলে দেখে।
ভেজাবে নাকি হে আমাকে! ভেজাও, ভেজাও। অনন্তর সর্বাঙ্গ যে পুড়ে গেল হে তোমার নাটকের জুড়িদারি করে। তার বুক নাই, মন নাই, অন্তরে খাঁ খাঁ শুধু তুমি তাকে নদীর উছালে উছালে ভাসিয়ে বেড়ালে বলে। রুখাসুখা মাটিকে এইবারে খানিক ভেজাও হে; নইলে কিসের ভরসায় বসে থাকে সে!
এইপাড়ে নাই হোক, অন্তত ওইপাড়ে ঘর অনন্ত বসাবেই। …..”
- এক বহমান জীবনের গল্প মাকাল সাহেব।
Buy From :
শতঞ্জিৎবাবু প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের ছাত্র, প্রবাসী, এখন অবসর জীবন কাটাচ্ছেন। তাঁর ভালোলাগা বিষয় - কবিতা। রুচি রাজনীতি ও সামাজিক বিষয়ে । এই ভুবনগ্রামে মানুষ সাগর পাহাড় কি ভাষা - যার দ্বারাই আপাত গন্ডিবদ্ধ থাকুক না কেন, মানুষের জীবনযাপন, কষ্ট, আশা, নিরাশা, পীড়ন, অন্যায়, ভালোবাসা - এইসব কিন্তু প্রায় একরকম। আর কবিতার ভাষা সর্বজনীন, তা দেশকালের গন্ডিতে আবদ্ধ না। তাই ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল বা বিদেশ - কবিদের প্রকাশ সমধর্মী - শতঞ্জিৎবাবু তাঁর রুচিমতো এরকমই কিছু কবিতার বাংলা অনুবাদ করেছেন।
আশা করি পাঠকদের ভালো লাগবে।
Buy From :
সন্ধ্যা বোস লিখেছেন মা-দিদিমার কাছ থেকে শেখা ওপার বাংলার নানারকমের রান্নার রেসিপি। দেশভাগের যন্ত্রণার মিশেল দিয়ে এই সব হারিয়ে যাওয়া রেসিপিগুলো হয়ে উঠেছে স্বমহিমায় স্বতন্ত্র। নিজের গ্রাম ছেড়ে কাঁটাতারের বেড়া পার করে আসার মর্মবেদনা ফুটে উঠেছে এই লেখার পরতে পরতে।
“যাবে না কেউ এবার, কেননা দেশ না কি এবার ভাগ হয়ে গেছে।
নীলুদের গ্রামটা না কি এখন অন্য একটা দেশ। ভারি আজব কথা।”
শঙ্খ ঘোষের লেখায় পড়া নীলুর মতনই সন্ধ্যা বোসের জীবনেও ঘটেছিল একই ঘটনা। নিরুচ্চার কান্না আর বিষণ্ণতা নিয়ে, ঠিক নীলুর মতো-ই তিনিও ফিরে তাকিয়েছেন হারানো দেশের দিকে। তাই এই বই খানিকটা তার স্মৃতি কথাও বটে। সেই সঙ্গে তিনি তুলে নিয়ে এসেছেন পূর্ববঙ্গের রান্নাবান্নার কথা। বইরাগ পাবলিকেশন তাঁর সেই স্মৃতির রেসিপি নিয়ে প্রকাশ করল বইরাগের ই-রেসিপি-বুক ‘পদ্মাপারের রান্নাকথা’। এগুলো ঠিক রেসিপি নয়, আবেগ আর স্মৃতির এমন ককটেল, যা আমাদের টাইম মেশিনে চড়ে পেছন পানে যেতে বাধ্য করে।
Buy From :
উনিশ শতকে বাঙ্গালি নারীর জীবন শিক্ষার আলোক থেকে বঞ্চিত ছিল। সেই অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলোর জয়যাত্রা সূচিত করেছেন যে কয়জন বঙ্গনারী তাঁদের মধ্যে মহারাণী স্বর্ণময়ী অন্যতম । তিনি শুধু কাশিমবাজার রাজপরিবারের রাণী ছিলেন না, তিনি ছিলেন তৎকালীন সমাজের রাণী। সংস্কৃতিবান নারী, যে তাঁর সবটুকু দিয়েছেন সমাজ ও শিক্ষার উন্নতিকল্পে। জাতি গঠনে শিক্ষার প্রয়োজন সর্বাগ্রে। সেই লক্ষ্যে তিনি অকৃপণ হাতে ব্যয় করে গেছেন।
তাঁর মহৎ হৃদয়ের মর্মস্পর্শ পেয়ে সবাই কৃতার্থ হয়েছে। অথচ এই মহৎপ্রাণ ইতিহাসের গর্ভে বিলীয়মান। তাঁকে নিয়ে চর্চা প্রায় নেই বললেই চলে। হয়তো নারী বলেই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ তাঁকে নিয়ে ভাবিত হয়নি। এই শতাব্দীতে আজ বহরমপুর সংস্কৃতির কেন্দ্র হয়ে ওঠার পেছনে যাঁর অসামান্য অবদান, তিনি পেছনেই থেকে গিয়েছেন।
রাণী স্বর্ণময়ী দেবীর চর্চার মাধ্যমে নারীরা আজও নতুন করে উজ্জীবিত হবেন। তাঁর জীবনী চর্চার মাধ্যমে আংশিক ঋণ স্বীকার করা হবে, মানুষ আলোকিত হবেন।
তাই বইরাগ পাবলিকেশন নতুন করে প্রকাশ করল বহু বছর আগে প্রকাশিত বিহারীলাল সরকার বিরচিত "মহারাণী স্বর্ণময়ী "।
Buy From :
বাংলা সাহিত্যের প্রথম পূর্ণাঙ্গ আত্মজীবনী কোনো পুরুষ সাহিত্যিকের হাত দিয়ে রচিত হয়নি। রচিত হয়েছে একজন অখ্যাত নারীর মাধ্যমে। রাজবাড়ী জেলার অখ্যাত এক গ্রাম 'ভর রামদিয়া'র এক বধূ লিখেছেন এই আত্মজীবনী। তিনি হলেন রাসসুন্দরী দেবী।
তাঁর এই আত্মজীবনীতে উঠে এসেছে ঊনবিংশ শতকের প্রথমার্ধের গ্রাম বাংলার কুসংস্কারসমৃদ্ধ সমাজ ব্যবস্থা, গৃহে আবদ্ধ বিদ্যাশিক্ষা বঞ্চিত নারীর নিগৃহীত জীবনের সকরুণ বিবরণী এই আত্মজীবনী। এটা শুধু একজন নারীর জীবনবৃত্তান্তই নয়, হয়ে উঠেছে ইতিহাসের এক প্রামাণ্য দলিলও।
এটি পড়ে মুগ্ধ জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন,“এ গ্রন্থখানি একজন রমণীর লেখা। শুধু তাহা নহে, ৮৮ বৎসরের একজন বর্ষীয়সী প্রাচীনা রমণীর লেখা। তাই বিশেষ কৌতুহলী হইয়া আমি এই গ্রন্থপাঠে প্রবৃত্ত হই। মনে করিয়াছিলাম যেখানে কোন ভাল কথা পাইব সেইখানে পেনসিলের দাগ দিব। পড়িতে পড়িতে দেখি, পেনসিলের দাগে গ্রন্থকলেবর ভরিয়া গেল। বস্তুতঃ ইহার জীবনের ঘটনাবলী এমন বিস্ময়জনক এবং ইহার লেখায় এমন একটি অকৃত্রিম সরল মাধুর্য আছে যে, গ্রন্থখানি পড়িতে বসিয়া শেষ না করিয়া থাকা যায় না।”
এবার বইরাগ প্রকাশনী দুটি ভাগ নিয়ে প্রকাশ করল এর ই-বুক। আশা দেশ-বিদেশের পাঠকের হাতে যাতে ছড়িয়ে পড়ে এই বইটি।
Buy From :
ধম্মপদ বা ধর্ম্মপদ বৌদ্ধ-ধর্ম্ম শাস্ত্রের নীতি সংগ্রহ গ্রন্থ। ত্রিপিটক, এই তিন শ্রেণী বা পিটকত্রয়ের নাম—সূত্র (সুত্ত), বিনয় ও অভিধর্ম্ম (অভিধম্ম)। সূত্রপিটকে বুদ্ধদেব কর্ত্তৃক ধর্ম্মতত্ত্বালোচনের বিষয়, বিনয়পিটকে সংযম (Discipline) ও অভিধর্ম্মে আধ্যাত্মিক তত্ত্বাবলী (Metaphysics) আলোচিত হইয়াছে। এতন্মধ্যে সূত্রপিটকে ধর্ম্মতত্ত্বসন্ধন্ধীয় বুদ্ধোক্তিসমূহ নিবদ্ধ হয়। এইজন্য সূত্রপিটকের অন্য নাম বুদ্ধবচন ও “মূলগ্রন্থ”। এই উক্তি সমূহ হইতে সারনীতি সংগ্রহ করিয়া যে সংক্ষিপ্ত গ্রন্থ সম্পাদিত হয়, তাহারই নাম ধম্মপদ। বুদ্ধদেব কখন কোথায়, কোন্ অবস্থায় কাহার সহিত কথােপকথনচ্ছলে কোন্ কথা বলিয়াছিলেন, সেই সমস্ত সূত্র পিটকে সংরক্ষিত হইয়াছে। ধম্মপদ গ্রন্থ ঐ সকল বাক্য হইতে নীতিমালা সংগ্রহ করিয়া শ্রেণীবদ্ধ ভাবে সম্পাদিত হইয়াছে। অন্যান্য বৌদ্ধ ধর্ম শাস্ত্রের ন্যায় ইহাও পালিভাষায় লিখিত। ধম্মপদ শব্দের সাধারণ অথ ধৰ্ম্মের পথ বা সােপান।
Buy From :
বাংলা পেশাদারি থিয়েটারের সূচনাপর্ব ‘গিরিশ যুগ’ নামে চিহ্নিত। এরকম একজন নাট্যপ্রতিভা সে যুগে জন্মেছিলেন বলেই বাংলা তথা নাট্যজগৎ সামনে এগোনোর রাস্তা পেয়েছিল। নাটকের হয়ে ওঠার পেছনে যে সমবেত প্রয়াস, যেখানে একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে অভিনয়শিল্পীদের ভূমিকা। গিরিশ ঘোষ একই সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা-নাট্যকার-পরিচালক-প্রযোজক। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত সফল। এছাড়া, নাট্যশিক্ষক হিসাবে তাঁর অবস্থানও অনেক ওপরে। গিরিশবাবুর অনুপ্রেরণায়, শিক্ষায় কত যে মঞ্চশিল্পীদের পাওয়া গিয়েছে, তা তো জানাই। এঁদের মধ্যে অধিকাংশই সৃষ্টিধর শিল্পী হিসাবে পরিচিত।
তবে, যিনি গিরিশচন্দ্র ঘোষের নাট্যস্বপ্ন ও ভাবনার প্রতিটি কণা দিয়ে নির্মিত, তাঁর নাম— শ্রীমতী বিনোদিনী দাসী। এই অবিস্মরণীয় অভিনেত্রীর প্রতিভা বর্ণময় বললেও কম বলা হয়। সে বিষয়ে অজস্র আলোচনা হয়েছে। আর বিনোদিনীর নিজের লেখা আত্মজীবনীমূলক ‘আমার কথা’, ‘আমার অভিনেত্রী জীবন’ ইত্যাদির মতো সাহিত্য-দলিল তো রয়েইছে। গিরিশচন্দ্র-র নাট্যস্বপ্ন প্রথম থেকেই সফলতার রাস্তা খুঁজে পাওয়ার পেছনে,এই বরেণ্য অভিনেত্রীর অবদান ছিল সীমাহীন। গিরিশচন্দ্রের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক যে ছিল গুরু-শিষ্যর মতো, তা প্রথমেই স্বীকার করতে হবে। আবার বিনোদিনীর জীবনে অনেক বঞ্চনার ক্ষেত্রে,গিরিশ ঘোষের নাম জড়িয়ে গিয়ে একটা বিতর্কের বাতাবরণও আছে। কিন্তু, বিনোদিনী নিজে কখনও তাঁর গুরুর বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেননি বা লেখেননি।
এই বইটিতে পাবেন গিরিশচন্দ্রের বিনোদিনীর ওপরে লেখা একটি মুখবন্ধ এবং বিনোদিনীর অকপট আত্মজীবনী , এক মলাটে গুরুশিষ্যার লেখা।
Buy From :
বাংলা ভাষায় ননসেন্স ছড়ার প্রবর্তন করেন সুকুমার রায়। তাঁর লেখা বিখ্যাত “ননসেন্স ছড়া” সংকলন আবোল তাবোল, ১৯২৩ সালে, সুকুমারের মৃত্যুর পর ইউ রায় এন্ড সন্স থেকে প্রকাশিত হয়। এই ‘আবোল তাবোল’ শুধু বাংলা সাহিত্যে নয়, বিশ্বসাহিত্যের অঙ্গনে নিজস্ব জায়গার দখল করে নেয়। বইরাগ পাবলিকেশন সুকুমারের ছড়া ও কবিতা নিয়ে প্রকাশ করল এই ই-বুক।
Buy From :
Copyright © Boiraag Publication- বইরাগ পাবলিকেশন - All Rights Reserved.