শ্রীমতী বিনোদিনী দাসী
Binodini Dasi
বিনোদিনীর গান ও অভিনয় পাগল করে তুলেছিল উনিশ শতকের বাঙালি নাট্যমোদীদের। গিরিশ ঘোষের একটার পর একটা নাটক সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর হয়ে ওঠার নেপথ্যে ছিল এই অভিনেত্রীর মন-প্রাণ সঁপে দেওয়া অভিনয়! থিয়েটারকে তিনি বিদায় জানিয়েছিলেন তাঁর ২৪ বছর বয়সে, যখন তাঁর নাট্যজীবনে তুঙ্গ মুহূর্ত চলছে। জীবনে শেষবারের মতো মঞ্চে উঠলেন গিরিশচন্দ্রের লেখা ‘বেল্লিকবাজার’ নাটকে ‘রঙ্গিনী’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্যে। দিনটা ছিল ১৮৮৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর।
বিনোদিনীর আত্মকথা, গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছিল আজ থেকে ১০৬ বছর আগে, বাংলা ১৩১৯ সনে। মনে রাখতে হবে, বিনোদিনী তখন রঙ্গমঞ্চ থেকে বহু দূরে, নাটক-থিয়েটার ছেড়েছেন সেও হয়ে গিয়েছে ২৫-২৬ বছর। এটাই যে বিনোদিনীর প্রথম লেখা, তা কিন্তু নয়। তার দু’বছর আগেই অমরেন্দ্রনাথ দত্তের ‘নাট্যমন্দির’ পত্রিকায় বিনোদিনীর আত্মকথা লেখা শুরু। তখন তার নাম ছিল ‘অভিনেত্রীর আত্মকথা’। অসম্পূর্ণ ছিল লেখাটা। তারও অনেক আগে থেকেই বিনোদিনী কবিতা লেখেন, গিরিশ ঘোষ স্ব-সম্পাদিত ‘সৌরভ’ পত্রিকায় ১৮৯৫ সালে বিনোদিনীর তিনটে কবিতা, আর এক অভিনেত্রী তারাসুন্দরীর দুটো কবিতা ছাপিয়েছেন !